Janmastami | জন্মাষ্টমী কী ?
জন্মাষ্টমী কবে পালিত হয়?
হিন্দুদের জন্য এই দিন টি একটি বিশেষ দিন । সৌর ভাদ্রো মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম তিথিতে যখন রোহিনী নক্ষত্রের প্রাধান্য পায় ,তখন এই দিনটি পালিত হয় । এই বছর2022 তে 18 ও 19 আগস্ট পালন করা হবে । প্রায় মধ্য রাত্রে জন্মাষ্টমীর পূজো করা হয় ।
জন্মাষ্টমী কেন পালন করা হয় এবং কিভাবে?
হিন্দু ধর্ম অনুসারে শ্রীকৃষ্ণ হল ভগবান বিষ্ণুর আট নম্বর অবতার ।তাই শ্রী কৃষ্ণের জন্মের এই শুভ দিনটি জন্মাষ্টমী হিসেবে পালিত হয় ।
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এটি ধুম ধাম করে পালিত হয় । মন্দিরে গুলোকে খুব সুন্দর করে সাজানো হয় ।তবে বৃন্দাবন এ বেশ ঘটা করে এটি পালিত হয়। এছাড়া উত্তর পূর্ব ভারতের উত্তরপ্রদেশে এই দিনটি বালগোপালের পূজো, পশ্চিমবঙ্গে জন্মাষ্টমীর পুজো ও জন্মদিন পালিত হয় ধুমধাম করে ,আবার মহারাষ্ট্রে কৃষ্ণের কৈশোরের লীলা মাথায় রেখে পালিত হয় দহি-হান্ডি উৎসব । আর দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে এই দিনটি উরিয়াদি হিসাবে পালিত হয়, অনেকটা দহি-হান্ডি স্টাইলে ।
![]() |
দহি-হান্ডি উৎসব |
জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের জন্য তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের ভোগ ও থাকে অত্যাবশ্যক মাখন-মিছরির ভোগ ।যেমন- পায়েস, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি,মালপোয়া, তালের লুচি, তালের বড়া ইত্যাদি ।এছাড়াও বালগোপালের (কৃষ্ণের বাল্য কালের রূপ) মুর্তকে দোলনায় প্রতিষ্ঠিত করে দোল দেওয়া হয়, কীর্তন করা হয়।আবার কোনো কোনো জায়গায় কৃষ্ণলীলার নাটকের আয়োজন করা হয়।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মকথার পৌরাণিক কাহিনি
শ্রীকৃষ্ণের জন্মকথা নিয়ে কাহিনি আমাদের কারোরই অজানা নয়। এমনটা কথিত রয়েছে যে দ্বাপর যুগের শেষের দিকে মথুরা নগরীতে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে বন্দী ছিলেন দেবকী ও বাসুদেব। আর সেই সময় এক পূণ্য-তিথিতে জন্ম নিয়েছিলেন দেবকী ও বাসুদেবের অষ্টম গর্ভের সন্তান শ্রীকৃষ্ণ। মামা কংস-র হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জন্মের রাতেই বাসুদেব তাঁর সন্তান কৃষ্ণকে নিয়ে যমুনা নদী পার করে মিত্র নন্দরাজের বাড়িতে রেখে আসেন। এই গল্পটি-ই লোকমুখে আজও চালিত হয়ে আসছে।
পুরাণের গল্প থেকেই আমরা জানতে পারি ছোট্ট গোপালের ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠার কাহিনি। ছোটোবেলা থেকেই চঞ্চল প্রকৃতির বালক ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। ছোট গোপালের অত্যাচারে তিতিবিরক্ত হয়ে পড়েছিল গোকুল ও বৃন্দাবনের মহিলারা। ঘরে ঘরে ঢুকে তিনি চুরি করে মাখন খেয়ে পালিয়ে যেতেন। এর জন্য ছোট্ট গোপাল-কে তাঁর পালিতা মা যশোদা-র কাছে যথেষ্টই বকুনি খেতে হত। এমনকী, ছেলের পিছনে লাঠি নিয়েও নাকি ধাওয়া করতেন যশোদা। এমন কাহিনিও বর্ণিত রয়েছে এই লোকগাথায়। কিন্তু, ছোট্ট গোপালের সরলতা, মা-এর প্রতি প্রবল ভালোবাসা গোকুল ও বৃন্দাবনের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁর মাখন চুরি ধরা পড়ে গিয়েছে জেনে যেভাবে ছোট্ট গোপাল দুষ্টু-মিষ্টু আচরণে সকলকে কাছে টেনে নিতেন তা কেউই অগ্রাহ্য করতে পারতেন না। তাই 'মাখনচোর'-এর আখ্যা পেলেও এই কাহিনি আজও জন্মাষ্টমী-তে শ্রীকৃষ্ণের অন্যতম লীলা বলেই বিবেচিত হয়। পরবর্তীকালে শ্রীকৃষ্ণ রাজা কংসকে বধ করেন ও মথুরার প্রজাদের অত্যাচারী রাজা হাত থেকে মুক্ত করেন ।
পুরাণের গল্প থেকেই আমরা জানতে পারি ছোট্ট গোপালের ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠার কাহিনি। ছোটোবেলা থেকেই চঞ্চল প্রকৃতির বালক ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। ছোট গোপালের অত্যাচারে তিতিবিরক্ত হয়ে পড়েছিল গোকুল ও বৃন্দাবনের মহিলারা। ঘরে ঘরে ঢুকে তিনি চুরি করে মাখন খেয়ে পালিয়ে যেতেন। এর জন্য ছোট্ট গোপাল-কে তাঁর পালিতা মা যশোদা-র কাছে যথেষ্টই বকুনি খেতে হত। এমনকী, ছেলের পিছনে লাঠি নিয়েও নাকি ধাওয়া করতেন যশোদা। এমন কাহিনিও বর্ণিত রয়েছে এই লোকগাথায়। কিন্তু, ছোট্ট গোপালের সরলতা, মা-এর প্রতি প্রবল ভালোবাসা গোকুল ও বৃন্দাবনের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁর মাখন চুরি ধরা পড়ে গিয়েছে জেনে যেভাবে ছোট্ট গোপাল দুষ্টু-মিষ্টু আচরণে সকলকে কাছে টেনে নিতেন তা কেউই অগ্রাহ্য করতে পারতেন না। তাই 'মাখনচোর'-এর আখ্যা পেলেও এই কাহিনি আজও জন্মাষ্টমী-তে শ্রীকৃষ্ণের অন্যতম লীলা বলেই বিবেচিত হয়। পরবর্তীকালে শ্রীকৃষ্ণ রাজা কংসকে বধ করেন ও মথুরার প্রজাদের অত্যাচারী রাজা হাত থেকে মুক্ত করেন ।
জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব বা তাৎপর্য
ভারতের সাথে সাথে বিদেশে থাকা হিন্দুরা ও এই দিনটি ধুমধামের সহিত পালন করে । জন্মাষ্টমীর বিশেষ তাৎপর্য বা গুরুত্ব রয়েছে ।এই দিনটি তে ভক্তরা (ছোট বড় সবাই)উপবাস বা ব্রত থাকে । পূজোর শেষে প্রসাদ খেয়ে এই উপবাস বা ব্রত ভঙ্গ করা হয় ।
শাস্ত্র অনুসারে যদি কেউ একবার শ্রীকৃষ্ণের এই জন্মাষ্টমী উপবাস পালন করে , তাহলে তাকে এই জগতে জন্ম, মৃত্যু, দুঃখ, কষ্ট ভোগ করতে হয় না ও তার পুনর্জন্ম গ্রহণ করতে হয় না অর্থাৎ মোক্ষ লাভ করে ।কথিত আছে নিষ্কাম শুদ্ধ মন নিয়ে জন্মাষ্টমীর দিন শ্রীকৃষ্ণ কে ডাকলে নাকি তিনি তার মনস্কামনা পূর্ন করেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন